একই গাছে ৪০ রকম ফল! আবার ফুলও ফোটে হরেক রঙের! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। আমেরিকার ফলবাগানে এমনই এক 'জাদু গাছ' সৃষ্টি করেছেন স্যাম ভ্যান অ্যাকেন।

২০০৮ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে ঘুরতে ঘুরতে এক প্রাচীন ফলবাগান খুঁজে পান শিল্পী স্যাম ভ্যান অ্যাকেন। জানতে পারেন, বাগানটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গাছপালা ঘেরা অগোছালো বাগিচার প্রেমে পড়ে যান স্যাম। তখনই মনস্থির করেন, বাগানটি কিনবেন।

বাগান কেনার পর দিন-রাত গাছের পরিচর্যায় কাটে স্যামের। তিনি লক্ষ্য করেন, বেশির ভাগ গাছই এমন গোত্রের যাতে বাদাম জাতীয় ফল ফলে। অর্থাত্‍ যে গাছে ফলের শাঁসের আড়ালে থাকা আঁটি বাদাম জাতীয়। তখনই এক দুর্দান্ত আইডিয়া আসে স্যামের মাথায়। গ্র্যাফটিং পদ্ধতির সাহায্যে এর আগেই সংকর গাছ তৈরিতে দড় স্যাম লেগে পড়েন নতুন গবেষণায়।

এক গাছের সঙ্গে অন্য গাছের কৃত্রিম মিলন ঘটিয়ে মিশ্র প্রজাতির গাছ তৈরি করার নেশা পেয়ে বসে তাঁকে। এ ভাবেই একাধিক গাছের মিশ্রণে তিনি তৈরি করেন এই জাদু গাছ যাতে সারা গ্রীষ্ম জুড়ে ৪০ রকমের ফল ফলে। তবে শুধু ফলই নয়, বসন্তে নানা রঙের বাহারি ফুলে ছেয়ে যায় জাদু গাছ। বেগুনি, লালা, গোলাপি, সাদা রঙের শোভা দেখতে ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পর্যটকরা।

কী কী ফল ফলে স্যামের 'কল্পতরু'তে?


শিল্পী জানিয়েছেন, পিচ, প্লাম, অ্যাপ্রিকট, আমন্ড, নেক্টারিন, চেরি ছাড়াও ফলে এই গোত্রের আরও কয়েক কিসিম প্রজাতি। তবে এরই সঙ্গে আরেক রহস্য ফাঁস করেছেন শখের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী। প্রথম গাছের সফল গ্র্যাফটিংয়ের পর বাগানের বেশ কিছু গাছে এই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভবিষ্যতে আরও তাক লাগানো গাছের সন্ধান মেলার সম্ভাবনা রয়েছে স্যাম ভ্যান অ্যাকেনের বাগিচায়।

একই গাছে ৪০ রকম ফল! আবার ফুলও ফোটে হরেক রঙের!

লন্ডন: 'ডিলিট'৷ মানবকোষে লুকিয়ে বাসা বেঁধে থাকা এইচআইভি-১ ভাইরাসকে জিনোম থেকে আলাদা করার পথের খোঁজ মিলল৷ ঠিক কম্পিউটার থেকে ফাইল ওড়ানোর মতোই৷ সদ্য প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এমন দাবি করেছেন টেম্পল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের একদল বিজ্ঞানী৷ বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম 'সিআরআইএস/ক্যাস-৯ জিনোম এডিটিং সিস্টেম'৷ নতুন এই আবিষ্কার বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিন ধরে চলা এইডস গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্য আসবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ হাসি ফুটবে বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ এইচআইভি আক্রান্তের মুখে৷

হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস মানবকোষে একবার ঢুকে পড়তে পারলে আর বেরোয় না৷ ঘাঁটি গেড়ে বসে৷ আক্রান্তের ডিএনএ'তে ঢুকিয়ে দেয় এর মারণ জিনোম৷ ফলে বাকি জীবনটা ওষুধ আর হাজারো চিকিত্‍সার উপর ভরসা করেই কাটাতে হয় আক্রান্তকে৷ নয়া আবিষ্কার সেই দুঃস্বপ্ন-এর হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে৷ আবিষ্কার বলছে, মানবকোষ থেকে সুপ্ত এইচআইভি-১ ভাইরাস 'ডিলিট' করার চেষ্টা এই প্রথম সাফল্য পেয়েছে, যা ঘুমিয়ে থাকা সংক্রমণ সারানোরও পথ দেখিয়েছে৷ টেম্পলের নিউরোসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষকদলের প্রধান কামেল খলিলি বলেন, 'এইডস পুরোপুরি সারিয়ে তোলার পথে এটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ৷' অবশ্য একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এটা ফাটাফাটি আবিষ্কার ঠিকই, কিন্ত্ত ক্লিনিক পর্যন্ত একে পৌঁছে দিতে এখনও দেরি আছে৷ তাঁর কথায়, 'বলা যেতে পারে, আমাদের ভাবনার প্রমাণ পেয়েছি৷ যার অর্থ, আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি৷'

গত প্রায় ১৫ বছরে এইচআইভি-র সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষের হাতিয়ার 'হাইলি অ্যাকটিভ অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি'৷ এইচআইভি-১ ভাইরাসের বাড়াবাড়ি ঠেকিয়ে রেখেছে এই থেরাপিই৷ কিন্ত্ত চিকিত্‍সায় ছেদ পড়লেই ফোঁস করে উঠেছে ভাইরাস৷ এইচআইভি-১-এর সংখ্যায় বেড়ে যাওয়াও (রেপ্লিকেশন) ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে থেরাপি৷ কিন্ত্ত ভাইরাসের উপস্থিতি স্বাস্থ্যের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে৷ খলিলির কথায়, 'ভাইরাস কম সংখ্যায় বাড়লেও (লো লেভেল রেপ্লিকেশন) আক্রান্তর শরীরে এমন সব রোগ বাসা বাঁধে, যেগুলো সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়৷' এ সবের মধ্যে রয়েছে কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা হূদপেশিরদৌর্বল্য, হাড়ের অসুখ, কিডনির অসুখ ও স্নায়ুর রোগ৷ ভাইরাসকে বশে রাখতে যে সব ড্রাগ শরীরে ঢোকানো হয়, অনেক সময় তা এই রোগগুলিকেই আরও আক্রমণাত্মক করে তোলে৷ সব মিলিয়ে রোগীর পক্ষে আরও যন্ত্রণাদায়ক এক দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া৷ সুবিশাল খরচের ক্ষেত্রও বটে৷

তাই বিজ্ঞানীরা সেই পথ খুঁজেছেন, যে পথে এগোলে এইচআইভি ভাইরাসকে একেবারে ঠেঙিয়ে মানবকোষ থেকে বিদায় করা যাবে৷ খলিলি ও তাঁর সহকর্মীরা ল্যাবে দিনের পর দিনের গবেষণার সেই পথের সন্ধানও পেয়েছেন অবশেষে৷ গবেষকরা ২০-নিউক্লিওটাইডের গাইড আরএনএ'কে পাঠিয়েছেন এইচআইভি-১ ডিএনএ লক্ষ্য করে আক্রমণ করতে৷ আরএনএ'কে শক্তিশালী করা হয়েছে তার সঙ্গে ডিএনএ-পৃথকীকরণ উত্‍সেচক সিএএস-৯'কে জুড়ে দিয়ে৷ এই গাইড আরএনএ মূলত আক্রমণ শানায় জিনের কন্ট্রোল রিজিয়নে, যার পোশাকি নাম 'লং টার্মিনাল রিপিট' (এলটিআর)৷ যা এইচআইভি-১ জিনোমের দু'দিকেই থাকে৷ এদের টার্গেট করে ক্যাস-৯ নিউক্লিয়েজ, এইচআইভি-১ জিনোমের অন্যতম উপকরণ ৯,৭০৯-নিউক্লিওটাইডকে ছিঁড়ে নিয়ে চলে আসে৷

এইচআইভি-১ যে সমস্ত কোষে ঘাঁটি বাঁধে, সেই মাইক্রোগ্লিয়া, মাইক্রোফাজ, টি-লিম্ফোসাইটে এই পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ খলিলি বলেন, 'টি-সেল ও মনোসাইটিক সেলই মূলত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়৷ তাই এরাই এই প্রযুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য টার্গেট৷'

তবে সহসা টার্গেটে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না বিজ্ঞানীরা৷ থেকে যাচ্ছে অনেকগুলি প্রশ্ন৷ যেমন প্রত্যেকটি আক্রান্ত কোষকে আক্রমণ করার মতো প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে৷ তার চেয়েও বড় কথা, এইচআইভি-১ যেহেতু মিউটেশন-পন্থী, তাই এক-এক আক্রান্তের জন্য এক-এক রকম চিকিত্‍সা প্রয়োজন হতে পারে৷ খলিলের কথায়, 'আক্রান্তের শরীর থেকে প্রতিটি এইচআইভি-১ কপিই আমরা বের করে দিতে চাইছি৷ এই প্রযুক্তি এইডস সারিয়ে দেবে৷ আমার মনে হয়, সেই পথেই এগোচ্ছি আমরা৷'

এইচআইভি আক্রান্তরা সে দিকেই তাকিয়ে৷ নতুন দিনের অপেক্ষায়৷


Collected

মানবকোশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে HIV ভাইরাস!!


মুম্বাই: টানা ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় কিশোরের মুখ থেকে ২৩২ টি দাঁত তুলে ফেলতে সক্ষম হলেন চিকিত্‍সকরা। বিরলতম এই অস্ত্রপচারের সাক্ষী রইল ভারতের মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালের দন্ত চিকিত্‍সা বিভাগ।

গত ১৮ মাস ধরে মুখ ফুলে উঠেছিল ১৭ বছরের কিশোর অশোক ভাভই। তাঁর মুখের মাড়িতে গজিয়ে উঠিছিল ২৩২টি অতিরিক্ত দাঁত। জেজে হাসপাতালের দন্ত চিকিত্‍সা বিভাগের প্রধান ডা. ধিওয়ারে জানালেন, অস্ত্রপচারের সময় মাড়ি কাটতেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মুক্তোর মতো দাঁত। অস্ত্রপচারের পর গুনে দেখা গেছে মোট ২৩২টি অতিরিক্ত দাঁত ছিল অশোকের মুখে। এখন রয়েছে ২৮টি। তবে এই ঘটনা খুবই বিরল। আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনে প্রথম এই ধরনের ঘটনার দেখলাম।

দুজন চিকিত্‍সক ও দুজন সহকারী অশোকের অস্ত্রপচার করেন।

Collected

কিশোরের মুখ থেকে ২৩২টি দাঁত বের করলেন চিকিত্‍সকরা